প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার

“যে জীবন আলো জ্বালায়, অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থেকেও—সেই জীবনই ইতিহাস তৈরি করে।”
আমি যখন বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী, হটাৎ একদিন বইয়ের দেরাজে লক্ষ্য করলাম ছাইরঙা এক পাতলা বই, উপরে হালকা ধুলোর স্তর জমেছে। উপরে মলাটে লেখা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। বরাবরই আমার পড়ার বইয়ের চাইতে গল্পের বইয়ের প্রতি ছিল বেজায় আকর্ষণ। তাই কৌতূহল ভরেই পড়া শুরু করলাম।
মুহূর্ত থেকে মুহূর্তের দিকে ধাবিত হলাম আর লক্ষ্য করলাম প্রাণে উন্মাদনার তরঙ্গ। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠল এক বছর একুশের মেয়ের ছবি, শ্যামলা গড়ন, দৃঢ় চিবুক, স্বাধীনতা পাবার তীব্র আকাঙ্খা তার চোখেমুখে স্পষ্টতই প্রতীয়মান।
একথা সত্যি যে আমাদের ভারতবর্ষের ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামীর সংখ্যা নেহাত কম নয়, কিন্তু প্রীতিলতা কেন উল্লেখযোগ্য? কারন তিনি বাংলার প্রথম মহিলা শহীদ যিনি দেখিয়েছিলেন মেয়েরা শুধু পরোক্ষভাবে নয়, প্রত্যক্ষভাবেও স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ন হতে সক্ষম।
আমার আজীবনের অনুপ্রেরণার উৎস এই মহিয়সী বিপ্লবী নারী। কিন্তু এটাই দুঃখজনক যে আজকের বাঙালি যুবসমাজের খুব কম অংশই প্রীতিলতার লড়াই, প্রত্যয়, সাহস, ত্যাগ ও তিতিক্ষাকে উপলব্ধি করতে পেরেছে। আমার স্থির বিশ্বাস, ফেমিনিজম বা নারীবাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন প্রীতিলতা নিজে।
প্রীতিলতা, আপনাকে জানাই আমার অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আভূমি প্রণাম।
বন্দে মাতরম!
নীচে কমেন্টে জানাতে ভুলো না তোমাদের কেমন লাগল এই ভিডিও।


Post Comment